ঘড়িতে সময়

Tuesday, March 19, 2013

ক্ষুধার গলায় ছুরি


ক্ষুধা’র নাম জ্বালার ঝোল, বিয়োগের এক গণিত অধ্যায়;
কষ্টের বাগধারা ছড়ানো চিলেকোঠায়, যা শীর্ষজনের সৃষ্টি।
আজ রাতে প্রার্থনায় যোগ হবে সেই পুরনো অভিযোগ -
‘সৃষ্টিকর্তা তুমি কেন আহার দিলে না অসহায়কে!
কেন রাত্রিযাপনে পেটের পরে পাতলা চামড়ায় আগুন?
মনে হয়- এসিড ঢেলে নাড়ী পুড়িয়ে ক্ষান্ত হবে
তোমার প্রভু।'
মনে হয়- তোমরা টিকেট কেটেই এসেছো এ পাড়ায়,
আর আমি? মাঙনা টিকেটের ভ্রমনে খেলাম ধরা।
টি.টি বললো, ‘টিকেট দেখাও নয়তো নো জলখাবার।’
ঠিক তেমনই শুভ-ঘটনা চক্র ছিলো ভাগ্যে!
নব যুগের নব ঋতুতে জীবন চলেছে বহুমাত্রিক মহিমায়।
দামী আর মহামূল্যবান খাদ্য-দ্রব্য তো চাইনি!
চেয়েছি শুকনো রুটি আর সামান্য কিছু  শর্করা।
পঁচা অথচ বাঁসি খাবারে দূর্বলতা কেটে যাক এই যা।
তারপরও যে মিললো না আহার, এক টুকরো রুটি!
ভাবনারা খেলতে চায় না বেরসিক ক্ষুধার্ত-জনের সাথে।
মিটি-মিটি তারার দল আর চাঁদের রুমালি রুটিতে
পেট ভরেই তো কেটে যাচ্ছে শতো প্রহর আর ঘন্টা।
এবার একটা শূণ্য পাকস্থলীর নায়ক হবো ভাবছি!
আহার ছাড়া মানুষ যদি নাই বা বাঁচে,
তবে আমি কীট হবো; লাল পিঁপড়া দলের সদস্য।
কেউতো টেনে আনবে এক টুকরো চিনি, অথবা -
একটি গমের দানা। এই বসন্ত তাতেই চলবে বেশ।
আর তাতেই বেঁচে যাবো নরকের এই পৃথিবীতে।
যে যাই বলুক, আজ রাতে উপোস ভাঙবে না জেনো।

[রচনাকালঃ ১৯ মার্চ ২০১৩, সময়কালঃ রাত ৯:৩৪ মিনিট।]

No comments:

Post a Comment