এহ্ টাকা দিয়ে শাহবাগ বানায়সো, ট্রাফিক জ্যাম বুঝো কেমন লাগে?
এহ্ জয় বাংলা?
এহ্ বাঙালীর বাচ্চা!
এ্র্যাটেনশান।
একটা কড়া করে স্যালুট। মতিঝিলের ব্যস্ত সড়কগুলোতে প্রায়ই দেখা যায় তাকে।
কালিমাখা জুতো, অফিসের পোষাক, বাঁকা টাই, একটা হ্যাট আর
হঠাৎ চিৎকারে মলিন হাসিতে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ানো এক ব্যক্তিত্ব।
ছেলে-ছোকরা’রা বলে পাগল!
আমি জানি সে একজন মুক্তিযোদ্ধা। সমাজের গ্যাড়াকলে পড়ে এমন বাউন্ডুলে!
হা হা হা। শালার মুজিব দেশ স্বাধীন করসে? তোগো মুজিব?
পাকিস্তানের জেলে পোলাও আর মুরগীর রান খাইসে।
যুদ্ধ করসি আমি। আমি। পলাশীর নবাব। মাওলানা ভাসানি।
জিয়ারে কয় চুর। ওয়াক থু। মুক্তিযোদ্ধারে কয় রাজাকার।
শুয়োরের বাচ্চা। একদম গুল্লি করুম। ঠা.. ঠা... ঠা...।
মু্ক্তিযোদ্ধা আইসে পালা... পালা... মুক্তি আইসে.. শাহাবাগ দখল করসে হাসিনা।
হা হা হা।
এ্র্যাটেনশান। কড়া করে এক জাত কর্ণেলের মতোই স্যালুট মারলো আমাকে।
একটা জাতি কতো অভাগা হলে এমন জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধা’র জেগে থাকা চলে।
মুখে এমন সব এলো-মেলো বক্তৃতা দিয়ে যায় যে লজ্জায় মাথা হেট!
একটা সেন্সরহীন দৈনিক বার্তার খোঁজে বের হই প্রায় দিনই খুঁজতে তাকে।
একজন মুক্তি, নির্ভিক যোদ্ধা জীবন জীবিকায় পরাজিত সৈনিক সে;
নানা নীপিড়নের নীল কৌশল আর ব্যাঙ্গ করে যাওয়া তার দ্ব্যার্থহীন ভাষা।
দেশকে ভাগ নয় জোড়া লাগানোর কৌশলে ব্যস্ত নাগরিক তুমি... কি বলবে?
মুক্তিযোদ্ধার গালি শুনতে ভালই লাগে, কি বলো?
রোজকারের না পাওয়াগুলো এতো অশান্ত আজকাল ভালো লাগে না বকতে।
পাগল বলবে তো তুমি! বলো। আমি খুশী।
এ্র্যাটেনশান।একটা কড়া করে স্যালুট। নব প্রজন্মের পাগল যোদ্ধাদের গুণতে ভুলো না।
[রচনাকালঃ ২৫ মার্চ ২০১৩, সময়কালঃ রাত ১০:৪৬ মিনিট।]
No comments:
Post a Comment