ঘড়িতে সময়

Sunday, March 17, 2013

ম্যাও, ম্যাও এবং ম্যাও



এক ছোট্ট শব্দের কন্ট্রাক্ট নিয়েছিলো বিড়াল ছানা,
হাত - পা চেটে দুই তিন বারে মায়ার ডাক দিনভর-
ম্যাও, ম্যাও এবং ম্যাও।
মহারাণীর অবসরে সঙ্গী, ক্ষানিক জঙ্গিও বটে দুধের বাটিতে;
চুক চুক করে মায়া‘র দুধ টেনে নেয় জিহ্বার স্বাদে এক্কেবারে গভীরে।
ঝির ঝির বাতাসে রাণী’র তর সয় না মাঝ রাতে বাঁশির সুরে;
ষোলকলার আদর-কলা রপ্ত করা তার; অভিমান মেশা নেশার ছলে
শুধু ম্যাও, ম্যাও করে কোলের মাঝে অবুঝ সাঁঝে মুখ লুকানো।
বসন্তকেও যে আদর দিতে হয় কৌশলে বিড়াল ছানার মতোই।
সেই হাত পা চেটে পুটে, নখের আঁচড়ে টিখর রসালো প্রেম।
সেই রকম আদর যা লিখে রাখা যায় ইতিহাস পাতায়,
সৌজন্যে যদি কাউকে দিতে চাও আবারো প্রেম নিবেদনে,
বলতে চাও ম্যাও, ম্যাও এবং ম্যাও।
হাতের আঁচড়ে বাঁধ ভাঙা প্রেম উপচে পড়ে তার উত্তরে।
লোভ হয়, হিংসা হয় বিড়াল ছানার প্রেম অভিলাষে
তার প্রতি, অচেতনে এবং ভীষণ সচেতনে;
রাণীর নরম বুকে চড়ে মাথা রাথা বিশ্রামের নাম ম্যাও।
ইচ্ছে - মহারাণীর দুধের বাটিতে মুখ যদি দেয়া যেত;
ওর কোমর ধরে পুরোটা ‘ম্যাও’ টেনে নিতাম এই ধারে।

[রচনাকালঃ ১৭ মার্চ ২০১৩, সময়কালঃ রাত ৯:১৭ মিনিট।]

1 comment: