ঘড়িতে সময়

Friday, February 22, 2013

রাজিব স্মরণে - আমি ব্লগার, নাস্তিক নই


আমি একটু বিষন্ন ছিলাম, আধো জলে নাইতে এসে
সুন্দরী’রা যখন বললো -
বালক তুমিও নাইতে এসো উদোম জলে,
আমি বসন খুলে ছদ্ম বেশে নৃত্যের তালে সবুজ গুণে
প্রকৃতি দিয়েছি খোঁপার ভাঁজে এলো চুলে;
ঠোঁটের তলে নিঃশ্বাসের পরে দো’টানায়,
আটানায় লাল ফিতে কিনে ভৈরবী সাজে প্রেম লীলায়।
চুম্বনে-চুম্বনে গতি এলো, গণনায় পার হলো এক দুই করে
বহু সংখ্যা, নারী এবং নারী।
নাইতে এসে দিলাম তুলে নিজেকে পদ্ম বিহারে,
সুষম পুষ্টি ছিলো না গীতি কবিতায় তাই তুলে নিলাম হাতিয়ার।
যে হাতিয়ার ত্রাশ আনে, আনে নাস্তিকতার দূর্য়োগ।
আমার ধর্ম? জানি না-তো। মস্তিস্কে ছিলো তখনও রক্তক্ষরণ,
নারীর গন্তব্য খুঁজতে কতোবার গেলাম পদ্ম বিহারে,
কই শব্দকেশী জলের আঁচলে লুকিয়ে ফেলা সেই রমণী’দের
তো দেখলাম না! ফিরে আসা শূণ্য হাতে আবারও হাতিয়ার।
এবার খুন করতে চাইলো মন, তোমাকে এবং আমাকে।
পেলাম ধর্মগ্রন্থ। কালি মাখা প্রতিটি পাতায় কই সবুজতো দেখলাম না!
যতোই উল্টেছি-পাল্টেছি পুস্তক,
বালি আর কণা ছাড়া তো মিললো না গ্রন্থে কিছুই যাতে মনটা ভিজে!
হাড্ডিসার অভিসারে পুরনোরা তাতে কেন রুগ্ন? কেন বেমানান?
কেন সাগর বা স্বচ্ছ হ্রদের ঝকঝকে জলে প্রেম ছিলো না উন্মুক্ত!
কেন ছিলো না সেখানে অস্থিরতায় ঢাকা নারীর উন্মুক্ত বক্ষ!
মরুর বুকে অশান্ত সমাজে যা ছিলো তা মানান সই ছিলো না বলেই,
গর্জন দিয়ে বলে উঠলাম -
ওসব ঠিক নয় বেহুলা, তোমার শরীরে রাখা সংস্কৃতির পুরোটাই ভুল।
মন থেকে না বললেও - যা বললাম ‘ভুল’ বললাম সব।
ধর্মগ্রন্থে যা লেখা ছিলো বা আমার লেখা ব্লগের দেয়ালে।
একটু আলো জ্বেলে যা দেখলাম,
ভোরের আযানে আঁধার ঘরের বাইরে আলো, পাখীরা গাইছে গান।
একটু সুপেয় জল পান করেছি, কোন মরুর বেদুঈনের সুরা নয়;
আমি তো ছিলাম ব্লগের ভিড়ে, সংস্কৃতের পাতায় অন্য জগতে।
ভোর যখন হলোই,
নামাজ পড়তেই হবে কারন এটাই উজ্জ্বল আর বাস্তব সত্যি।
আমি নাস্তিক ছিলাম লেখায় আর ওটাকে ‘ভুল’ সংস্কৃতি বলে।
তোমরা বুঝে নিও আমি মুসলমান, আমি নাস্তিক নই, আমি ব্লগার।

[রচনাকালঃ ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, সময়ঃ ভোর ৩:২২ মিনিট।]

No comments:

Post a Comment