ঘড়িতে সময়

Thursday, February 28, 2013

শুভ জন্মদিন


আজ একুশ হলো তোমার,
আমার আনন্দের সীমানায় উজ্জ্বল একুশটা ঘন্টা ঢং ঢং করে বেজে উঠলো,
নাড়া দিলো মননে উচ্ছাসে শিহরণে -,
সমূদ্র তীরে উর্বর বালু-কণায় বসবাসরত কাঁকড়াদের ভীড়ে সেরা যুগলকে বাহবা দিলো,
মমতার সেরা পালকে তোমাকে ঘিরে রাখা আমাদের আনন্দের ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিলো।

সেই শুরুর পর থেকে চলতে থাকা দাগ কাটা সরু রেখাগুলোর মাঝে
আবিষ্কার করা একমাত্র উজ্জ্বল লাল সূর্য তুমি প্রিয় বাবা আমার, আমার সন্তান;
আমার নয়ন মণি, বুকের ধন, হিরক খণ্ড।
সেদিনও মা ডেকে অস্পষ্ট স্বরে চিনতে চেয়েছিলে দীপ্তিমান বিকেলে,
হাঁটি-হাঁটি পায় দূর্গম শিখড়ে উঠতে চেয়ে শিশু অবাক তুমি
চোখে চোখ রেখে কখনও আনন্দে – হেসে, হৈচৈ ফেলেছিলে আমার একার পৃখিবীতে।

আমি অবাক হয়ে ভেবেছিলাম কি ভাগ্যবতী নারী আমি!
পূবে যদি কথনও সূর্য না ওঠে বাকীরা ঘুমন্ত থাকবে জানবে সবাই,
কিন্তু আমার সূর্য তুমি, রাঙিয়ে দিবে আমার হৃদয় পৃথিবী;
চারপাশে এক নিঃশ্বাসে, নিশ্চিন্ত রেখায় অবিচল বিশ্বাসে।
এমনটাই সত্যি জেনে রেখো তোমরা।
আর এমনটাই হয়ে আসছে বিগত দিনগুলিতে- একুশটি বছর।
প্রত্যেকটা দিন, প্রত্যেকটা মুহূর্তে জীবনের জয় গান গেয়ে
আমিও বাঁচতে শিখেছি
আমিও হাসতে জেনেছি
সন্তানের মঙ্গল কামনায়, শতায়ু আর দীর্ঘ জীবনের সংকল্প বাণীতে;
শুভ কল্যাণের পুষ্প মালা দিয়ে, কাননের নানা শৃঙ্খলার ঠিক মাঝখানটায়
যেখানে মধ্যপন্থি আমার ধ্যান-জ্ঞান পুরোটা নিয়োজিত, তোমাকে রাজকুমার সাজিয়ে;
শতোটা সাল বুনন করে এক সুখময় পৃথিবী রেখে যেতে চাই তোমার জন্য- এই ‘মা’ আমি.... তোমার জন্য।

হে সন্তান, বীর তুমি, সেরা জাগরণ মুহুর্ত, হিসেব নিকেশে নির্ভুল থেকে
অবিরাম রচনা করে যাও এক মমতাময়ী মায়ের আদর্শে গড়া সৌভাগ্য মোড়কের মহাকাব্য।
তুমি প্রাণচঞ্চল হাসিমাখা বিচরণ স্মৃতি সবার মাঝে জন্ম দান করো।
আমরা তোমাকে সহজসাধ্য কাজে দেখতে চাই না,
দেখতে চাই বিরূপ প্রকৃতিতে কঠিন শিলা খণ্ডের পাহাড় টেনে বেড়ানো বলিষ্ঠ বাহুর সেরা যুবক রূপে।
আমি তোমাকে দেখতে চাই এক স্রষ্টা রূপে,
যে গড়ে তুলবে নিরক্ষর - সংক্রামক রোগে আক্রান্ত এক জাতীর স্বাস্থ্যবান ভবিষ্যৎ।
নাম না জানা লক্ষ-কোটি মনের জীবন্ত প্রাণের মধ্যমনি হয়ে জেগে রও বিশ্ব নেতা হয়ে আগামীতে,
সুখ-সমৃদ্ধির ইতিহাস সৃষ্টি করে তুমি আলো জ্বালো আমাদের আঁধার পৃথিবী জুড়ে।
আমি তোমার প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে ফুল্ল প্রাণের মন্দিরে পুজো দেই সর্বক্ষণ,
আমার আশীর্বাদ চিরকাল –
একুশটি ফাগুণের মাঝে তুমিই সেরা লাল সূর্য়ের ফাগুন আমার, লাল আগুন আমার।
বেঁচে থাকো আগামী আরো একুশ কোটি নীল দিগন্তে, বাঁচিয়ে রাখো আমাদের অসংলগ্ন পদচারনা বহুদিন...., বহুকাল....।

[রচনাকালঃ ২৭/০২/২০১৩, সময়কালঃ বিকেল ৫:২৫ মিনিট।]

Saturday, February 23, 2013

শান্তি আসুক প্রাণে


শান্তি.... শান্তি..... শান্তি আসুক উত্তপ্ত প্রাণে,
আগরবাতি, আঁতরে সব মুসলমানের সুঘ্রাণে।
আমরা হিংস্র নই, চুড়ান্ত নিরীহ এক জনতা;
পারষ্পরিক শ্রদ্ধায় খুশী হন ঐ দূর বিধাতা।
কিছু দায়িত্ব ছেড়ে দাও তোমার সৃষ্টিকর্তার নিকট,
বোমা আর আতংকের আওয়াজ ভীষণ প্রকট।
সুকান্ত বলেছিলেন নির্ভয়ে জাকুক ঘুমন্ত যুব,
প্রাণের জড়তা কেটে জেগে উঠুক সংসার ভব।
তারপরও দূর্বল-বলিষ্ঠরা থেমে নেই আজ কেউ,
বালু-কণায় উড়ছে অখবা ফুঁসেছে সাগরের ঢেউ।
সমাজের সৃষ্টিতে হাতে হাত রাখা সহপাঠি ওরা,
নয়তো অশুদ্ধ কেউ - শাহবাগ বা আস্তিক ছোঁড়া।

[রচনাকালঃ ২২/০২/২০১৩, সময়কালঃ রাত ৭:৫৩ মিনিট।]

Friday, February 22, 2013

রাজিব স্মরণে - আমি ব্লগার, নাস্তিক নই


আমি একটু বিষন্ন ছিলাম, আধো জলে নাইতে এসে
সুন্দরী’রা যখন বললো -
বালক তুমিও নাইতে এসো উদোম জলে,
আমি বসন খুলে ছদ্ম বেশে নৃত্যের তালে সবুজ গুণে
প্রকৃতি দিয়েছি খোঁপার ভাঁজে এলো চুলে;
ঠোঁটের তলে নিঃশ্বাসের পরে দো’টানায়,
আটানায় লাল ফিতে কিনে ভৈরবী সাজে প্রেম লীলায়।
চুম্বনে-চুম্বনে গতি এলো, গণনায় পার হলো এক দুই করে
বহু সংখ্যা, নারী এবং নারী।
নাইতে এসে দিলাম তুলে নিজেকে পদ্ম বিহারে,
সুষম পুষ্টি ছিলো না গীতি কবিতায় তাই তুলে নিলাম হাতিয়ার।
যে হাতিয়ার ত্রাশ আনে, আনে নাস্তিকতার দূর্য়োগ।
আমার ধর্ম? জানি না-তো। মস্তিস্কে ছিলো তখনও রক্তক্ষরণ,
নারীর গন্তব্য খুঁজতে কতোবার গেলাম পদ্ম বিহারে,
কই শব্দকেশী জলের আঁচলে লুকিয়ে ফেলা সেই রমণী’দের
তো দেখলাম না! ফিরে আসা শূণ্য হাতে আবারও হাতিয়ার।
এবার খুন করতে চাইলো মন, তোমাকে এবং আমাকে।
পেলাম ধর্মগ্রন্থ। কালি মাখা প্রতিটি পাতায় কই সবুজতো দেখলাম না!
যতোই উল্টেছি-পাল্টেছি পুস্তক,
বালি আর কণা ছাড়া তো মিললো না গ্রন্থে কিছুই যাতে মনটা ভিজে!
হাড্ডিসার অভিসারে পুরনোরা তাতে কেন রুগ্ন? কেন বেমানান?
কেন সাগর বা স্বচ্ছ হ্রদের ঝকঝকে জলে প্রেম ছিলো না উন্মুক্ত!
কেন ছিলো না সেখানে অস্থিরতায় ঢাকা নারীর উন্মুক্ত বক্ষ!
মরুর বুকে অশান্ত সমাজে যা ছিলো তা মানান সই ছিলো না বলেই,
গর্জন দিয়ে বলে উঠলাম -
ওসব ঠিক নয় বেহুলা, তোমার শরীরে রাখা সংস্কৃতির পুরোটাই ভুল।
মন থেকে না বললেও - যা বললাম ‘ভুল’ বললাম সব।
ধর্মগ্রন্থে যা লেখা ছিলো বা আমার লেখা ব্লগের দেয়ালে।
একটু আলো জ্বেলে যা দেখলাম,
ভোরের আযানে আঁধার ঘরের বাইরে আলো, পাখীরা গাইছে গান।
একটু সুপেয় জল পান করেছি, কোন মরুর বেদুঈনের সুরা নয়;
আমি তো ছিলাম ব্লগের ভিড়ে, সংস্কৃতের পাতায় অন্য জগতে।
ভোর যখন হলোই,
নামাজ পড়তেই হবে কারন এটাই উজ্জ্বল আর বাস্তব সত্যি।
আমি নাস্তিক ছিলাম লেখায় আর ওটাকে ‘ভুল’ সংস্কৃতি বলে।
তোমরা বুঝে নিও আমি মুসলমান, আমি নাস্তিক নই, আমি ব্লগার।

[রচনাকালঃ ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, সময়ঃ ভোর ৩:২২ মিনিট।]

Wednesday, February 20, 2013

বোবা বেদনা


আরো একটা বিদায়ে ঘুম হারিয়ে গেলো,
বেঁচে থাকার সব স্বাদ কেন ফুরিয়ে গেলো!
এক মুঠো আশায় বেঁচে থাকা বড়োই কঠিন,
পুরো নয় আধো কষ্টে আমি নীল, আমি মলিন।
চোখে কাজল এঁটে স্বপ্ন আসে এইদিকে লুকিয়ে,
স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় দুঃস্বপ্ন দেয় কাঁদিয়ে।
তবুও হৃদয় খুঁড়ে দেখি আছে কি অবশিষ্ট,
কি বা আছে অন্তরে দুঃখ-বেদনার উচ্ছিষ্ট।

[রচনাকালঃ ২০/০২/২০১৩, সময়ঃ রাত ১০:২০ মিনিট]